রাস্তার দুধারে চলছে নির্বিচারে গাছ কাটা , এলাকাবাসী প্রতিবাদে সরব মেমারীর দেবীপুরে

2nd February 2020 বর্ধমান
রাস্তার দুধারে চলছে নির্বিচারে গাছ কাটা , এলাকাবাসী প্রতিবাদে সরব মেমারীর দেবীপুরে


অভিযোগ , দেবীপুর পঞ্চায়েত এলাকায় বুলবুলিতলা যাওয়ার রাস্তার দুপাশে গাছ কেটে নেওয়া হচ্ছে নির্বিচারে । সারা বছর এই গাছের নীচে মাঠের কাজের ফাঁকে বিশ্রাম করেন কৃষকরা । রাস্তা তৈরী হয়ে যাওয়ার পরেও রাস্তা থেকে অনেকটা দূরের সমস্ত গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে । ঠিকাদার সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে , পঞ্চায়েতের দেওয়া টেন্ডারের ভিত্তিতে তারা গাছ কাটছেন । যদিও পূর্ত দপ্তরের রাস্তার পাশে থাকা গাছের টেন্ডার দেবার অধিকার বা ক্ষমতা পঞ্চায়েতের আদৌ আছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী ভীষ্মদেব ভট্টাচার্য । তিনিও সরব এই গাছ কাটার বিরুদ্ধে । বেআইনী কাজ করছে পঞ্চায়েত বলে অভিযোগ তার । কাটা গাছ , ট্রাকটর বোঝাই গাছ সহ অনান‍্য জিনিসপত্র বিডিও র হেফাজতে নিয়ে যারা ঘটনার সাথে যুক্ত তাদের গ্ৰেফতার করতে হবে বলেও দাবী জানান ভীষ্মদেববাবু । ঘটনাস্থলে এসে মেমারী ১ ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক তিনিও ক্ষোভের মুখে পড়েন । কেন নির্বিচারে প্রকাশ‍্যে এভাবে দিনের পর দিন গাছ কাটা হচ্ছে সে বিষয়ে কোনো উত্তর দিতে পারননি । জেলাশাসক , মহকুমা শাসকেও জানানো হয়েছে । আগামীকাল সামগ্ৰিক বিষয় খতিয়ে দেখে পঞ্চায়েত প্রধানকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিডিও । এফ আই আর হলে পুলিশ পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে । কিন্তু এই ভয়াবহ পরিবেশ দূষণের মধ‍্যে দাঁড়িয়ে যখন সবুজ বাঁচানোর জন‍্য সরকারের এত প্রচার তখন প্রকাশ‍্য দিবালোকে শয়ে শয়ে গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে প্রশাসনিক কর্তাদের মনোভাবকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন আইনজীবী ভীষ্মদেব ভট্টাচার্য । তাঁর দাবী ইতিপূর্বে বাগিলা পঞ্চায়েত প্রধানকেও মহকুমা শাসক নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি শোনেননি । আদৌ এক্ষেত্রে টেন্ডার দেওয়া পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে কোনো ব‍্যবস্থা নেওয়া হবে কি না তাতে সন্দেহ রয়েছে । টেন্ডার প্রাপক সেখ ইয়াবুল তিনি জানিয়েছেন , পঞ্চায়েত প্রধান স্বাক্ষর করে একটি অর্ডার দিয়েছেন হাজিপুর কালীতলা থেকে ময়নগর অবধি রাস্তার দুধারে সমস্ত গাছ কাটার । ২ লক্ষ ৬ হাজার টাকায় সেই টেন্ডার দেওয়া হয়েছে । গাছের সংখ‍্যা কিছু লেখা নেই । এখানেই প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় রা , কোনো গাছের সংখ‍্যা লেখা নেই । অথচ সমস্ত ছোট বড় মাঝারি সব গাছ ই দেদার কেটে পাচার করে দেওয়া হচ্ছে । এর তদন্তের দাবীতে সরব এলাকাবাসী । তবে গাছ কাটার প্রতিবাদে সরব হয়ে এলাকাবাসী যখন পথ অবরোধে সামিল । ঘটনাস্থলে বিডিও এলেও তিনি কেন প্রধানকে ঘটনাস্থলে ডেকে আনলেন না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন বহুজন । আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কি পদক্ষেপ নেয় ব্লক প্রশাসন তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সকলে ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।